পোকামাকড় আপনার এমপ্লয়ী অথবা কাস্টমারের অসুস্থতার কারন যেমন হতে পারে ঠিক তেমনি আপনার অফিস অথবা রেস্টুরেন্টের সুনামও ধ্বংস করে দিতে পারে। তাই ছোটবড় যে কোন ব্যবসায় সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য পেষ্ট কন্ট্রোল করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই আর্টিকেলে, সচরাচর পোকামাকড় সংক্রান্ত সমস্যা যা অফিস ও রেস্টুরেন্টের জন্য ক্ষতিকর সেসবের বিস্তারিত ধারনা দেয়া হয়েছে যাতে করে দেরি হবার আগেই আপনার ব্যবসাকে সুরক্ষিত করতে পারেন।
চারটি প্রধান খাবারের পোকা
সাধারনত অফিস ও রেস্টুরেন্টে চার ধরনের পোকামাকড় বেশি যন্ত্রণাদায়ক। যেমন, পিঁপড়া, তেলাপোকা, মশা-মাছি , ইঁদুর ইত্যাদি। এগুলো প্রায় সবগুলোই রোগজীবাণু বহন করে যা মানব দেহের জন্য ক্ষতিকারক।
পোকামাকড় যেভাবে খাবারকে দূষিত করে
গুদামজাত পণ্যে সাধারনত মথ, ইঁদুর, গুবরে পোকা, তেলাপোকা ছোট ছোট গর্ত করে ঢুকে পণ্যের ক্ষতি সাধন করে। সাইজে ছোট হলেও এরা অনেক বেশি পণ্যের ক্ষতি সাধন করতে সক্ষম। এগুলো আপনার খাবারে রোগ জীবাণুর সংক্রমণ করে কাস্টমারের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটাতে পারে। যা পরিশেষে আপনার ব্যবসাকে ভয়াবহ অবনতির দিকে ঠেলে দিবে।
পিঁপড়া খাবারের ক্ষতি সাধনের চেয়ে বিরক্তির কারন হিসেবে বেশি পরিচিত। যে কোন জায়গায় নিমিষেই ঢুকে যাবার সম্ভাবনা থাকে দেখে একে প্রতিরোধ করাও বেশ কষ্টকর। খাবারের জায়গা, কাপবোর্ড, শেল্ফ ও বিভিন্ন প্যাকেটের মধ্যে পিঁপড়া ঢুকে মালামাল নষ্ট করে ফেলে। sBusiness-এর পেস্ট কন্ট্রোল সার্ভিসের সাথে যোগাযোগ করে দ্রুত পিঁপড়া দূর করতে পারেন।
তেলাপোকা সাধারনত রাতে চলাচল করে যে কারনে এদেরকে খুঁজে বের করাটা দুষ্কর। তেলাপোকা বিভিন্ন ধরনের রোগ জীবাণু ছড়িয়ে বেড়ায় যা অনেকসময় অজানা থেকে যায়। বিভিন্ন ধরনের আসবাসপত্র, ইকুইপমেন্টস, স্টোরেজ, ডিসপ্লে এমনকি বিল্ডিং এর বিভিন্ন কোনায় তেলাপোকার আনাগোনা দেখা যায়।
একইভাবে ইঁদুর ও মশা-মাছি খাবারে জীবাণু সংক্রামণ করে যা থেকে রক্ষা পেতে সাবধান থাকার পাশাপাশি জলদি পেস্ট কন্ট্রোলের সার্ভিস নেয়া উচিত।
পোকামাকড় অফিসে যে সমস্যাগুলো সৃষ্টির কারন
অফিসে সাধারনত তেলাপোকা, ছারপোকা, মশামাছি, ইঁদুর এগুলোই সচরাচর দেখা যায়।
ছারপোকা খুব দ্রুত বংশ বিস্তার করে সব ফার্নিচার, কাপড় চোপড় এমনকি তোষক, বালিশে ছড়িয়ে পড়ে। ছারপোকারা নাতিশীতোষ্ণ পরিবেশে বাস করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। এরা অতিরিক্ত গরম সহ্য করতে পারে না; তাপমাত্রা বাড়তে থাকলে এদের জন্য টিকে থাকা কষ্টকর হয়ে ওঠে। ২১-২৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছারপোকাদের বসবাসের জন্য সবচেয়ে অনুকূল। ৪৫ ডিগ্রী সেলসিয়াসের চেয়ে বেশি তাপমাত্রায় কিছুক্ষণের মধ্যেই এরা মারা যায়। ছারপোকা মশার মতই রক্ত শুষে খায়, এবং তা থেকে নানা রকম চর্মজনিত রোগ হতে পারে।
এছাড়া ইঁদুর আপনার অফিসের গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র কেটে ফেলে বিপদে ফেলে দিতে পারে।
তেলাপোকা নিশাচর প্রাণী, এরা রাতে ঘোরাফেরা করতে পছন্দ করে। দিনের বেলায় অন্ধকারাচ্ছন্ন জায়গায়ও এদের দেখা যায়। তেলাপোকা নোংরা-স্যাঁতস্যাঁতে জায়গায় থাকে বলে এরা বিভিন্ন ধরনের রোগ ছড়াতে সক্ষম। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, তেলাপোকা ডায়রিয়া, কলেরা, আমাশয়, যক্ষ্মা, প্লেগ, টাইফয়েড এবং বিভিন্ন ধরনের ভাইরাসজনিত রোগ ছড়ায়। তেলাপোকা কিছু কিছু মানুষের অ্যালার্জির কারন। বিশেষ করে অ্যাজমা রোগীদের জন্য তেলাপোকা খুবই ক্ষতিকর।
তাই এসব ক্ষতিকারক পোকামাকড় থেকে আপনার অফিস কিংবা রেস্টুরেন্টকে রক্ষা করতে দ্রুত যোগাযোগ করুন sBusiness.xyz-এর পেস্ট কন্ট্রোল সার্ভিসের সাথে। এতে আপনি যেমন রক্ষা পাবেন অনাকাঙ্ক্ষিত অসুখ থেকে তেমনি আপনার ব্যবাসাও থাকবে নিরাপদ সবসময়।
সার্ভিস ওয়ারেন্টি সহ প্রফেশনাল পেষ্ট কন্ট্রোল সার্ভিস অর্ডার করতে ভিজিট করুন sBusiness.xyz অথবা +8801833309555 ডায়াল করুন।
Comentários